Whatsapp: +8801567808596

  |  

Track Order

কাব্বালাহ

কাব্বালাহ

৳700
৳490

ইতিহাস কেবল দৃশ্যমান গল্প নয়

আমরা সাধারণত ইতিহাসকে দেখি গল্পের আকারে। কোন রাজা কখন শাসন করল৷  কোন যুদ্ধে কে জয়ী হলো, কোন বিপ্লব কোন দেশে হলো। কিন্তু এই দৃশ্যমান ইতিহাস কখনো পুরোটা বলে না। ইতিহাস হলো এক বিশাল নাট্যমঞ্চ, যেখানে দৃশ্যমান চরিত্ররা কেবল সামনে দাঁড়ানো অভিনেতা। আর আড়ালে বসে থাকে নাট্যকার;যারা গল্প লিখে, দৃশ্য সাজায়, সুতো টানে। এই অদৃশ্য ইতিহাসকে না বুঝলে ইতিহাসের অর্ধেকও বোঝা যায় না।

  লেখক   কাজি ম্যাক
  প্রকাশনী

 Boipiyon Publication

  সংস্করণ   November 20, 2025
  catagory  ইতিহাস,  ২০২৫ এর বেস্টসেলার বই,  কাজী ম্যাক এর বইসমুহ,  নতুন প্রকাশিত বইসমূহ
  Language   বাংলা
  Number of Pages   240
  Cover Type   Hardcover

ইতিহাস কেবল দৃশ্যমান গল্প নয়

আমরা সাধারণত ইতিহাসকে দেখি গল্পের আকারে। কোন রাজা কখন শাসন করল৷  কোন যুদ্ধে কে জয়ী হলো, কোন বিপ্লব কোন দেশে হলো। কিন্তু এই দৃশ্যমান ইতিহাস কখনো পুরোটা বলে না। ইতিহাস হলো এক বিশাল নাট্যমঞ্চ, যেখানে দৃশ্যমান চরিত্ররা কেবল সামনে দাঁড়ানো অভিনেতা। আর আড়ালে বসে থাকে নাট্যকার;যারা গল্প লিখে, দৃশ্য সাজায়, সুতো টানে। এই অদৃশ্য ইতিহাসকে না বুঝলে ইতিহাসের অর্ধেকও বোঝা যায় না।

মিশরের দিকে তাকাও। স্কুলে আমরা শিখি পিরামিড হলো ফেরাউনদের সমাধি। কিন্তু কেন এই পিরামিডের গঠন নিখুঁতভাবে উত্তর-দক্ষিণ-পুর্ব-পশ্চিমের সঙ্গে মিলে যায়? কেন এর ভেতরে এমন কক্ষ বানানো হয়েছে যেগুলো নক্ষত্রপুঞ্জের সঙ্গে মিলে যায়? দৃশ্যমান ইতিহাস বলে। এগুলো কেবল সমাধি। অদৃশ্য ইতিহাস বলে। এগুলো প্রতীকের মাধ্যমে শক্তি নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্র। পিরামিড কেবল রাজাদের সমাধি নয়, বরং মহাজাগতিক কোডের ভাণ্ডার।

রোমান সাম্রাজ্যের পতনও একই রকম। দৃশ্যমান ইতিহাস বলবে- 

বর্বরদের আক্রমণ, দুর্বল অর্থনীতি, দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি। কিন্তু অদৃশ্য ইতিহাস খুঁজে পায় অন্য সত্য। পতনের আগে রোমের প্রতীক দুর্বল হয়ে পড়েছিল। ঈগল, সূর্য, দেবতাদের প্রতীক, একটা সময়ে সব ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছিল। জনগণের আধ্যাত্মিক ঐক্য ভেঙে যাচ্ছিল। যখন প্রতীক ভাঙে, তখন সাম্রাজ্যও ভাঙে।

একইভাবে ফরাসি বিপ্লব। দৃশ্যমান ইতিহাস আমাদের শিক্ষা দেয় - জনগণ ক্ষুধার্ত ছিল, রাজা দুর্নীতিগ্রস্ত, তাই বিদ্রোহ হলো। কিন্তু অদৃশ্য ইতিহাস দেখায় ভিন্ন কিছু। বিপ্লবের স্লোগান, প্রতীক, তারিখ ইত্যাদি সব ফ্রিম্যাসনিক ছকে সাজানো। “Liberty, Equality, Fraternity”। এই স্লোগান এসেছে মেসনিক লজ থেকে। বিপ্লবের প্রতীক গিলোটিন কেবল মৃত্যুর যন্ত্র নয়, বরং নতুন বিশ্বব্যবস্থার প্রতীক।

আমেরিকার জন্মকথাও একই। দৃশ্যমান ইতিহাস বলে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার লড়াই। কিন্তু নতুন দেশের প্রতীকগুলো? ডলার নোটে সর্বদ্রষ্টা চোখ, জাতীয় সিলমোহরে পিরামিড, তারকায় ভরা পতাকা। এসব কি কেবল কাকতাল? নাকি এক অদৃশ্য হাত আগে থেকেই নতুন সাম্রাজ্যের প্রতীক সাজিয়ে দিয়েছিল?

সংখ্যার রহস্যও ইতিহাসে বারবার আসে। সাত দিনের সপ্তাহ, বারো গোত্র, তেরো উপনিবেশ, তেত্রিশ ডিগ্রি ফ্রিম্যাসনিক পর্যায়- এসব সংখ্যা কাকতাল নয়। কাব্বালাহ শেখায় প্রতিটি সংখ্যার আছে শক্তি। সাত হলো পূর্ণতার প্রতীক, বারো হলো ঐক্যের, তেরো হলো পরিবর্তনের, তেত্রিশ হলো জ্ঞানের। আশ্চর্যের বিষয়, ইতিহাসের বড় ঘটনা বারবার এই সংখ্যাগুলোর সঙ্গে মিলে যায়।

রাশিয়ার বিপ্লবও কেবল জনগণের বিদ্রোহ ছিল না। এর পেছনে ছিল গোপন নেটওয়ার্ক, প্রতীকী ভাষা, আর অদৃশ্য পরিকল্পনা। লাল রঙকে বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়া কেবল আবেগ নয়, বরং প্রতীকের মনস্তাত্ত্বিক শক্তির ব্যবহার।

এভাবে আমরা সিদ্ধান্তে আসতে পারি  - ইতিহাস কেবল দৃশ্যমান গল্প নয়। এর আড়ালে রয়েছে  প্রতীকের খেলা, সংখ্যার খেলা, আর গোপন জ্ঞানের ছক। যারা এই অদৃশ্য ইতিহাস বোঝে, তারাই আসল নিয়ন্ত্রক। সাধারণ মানুষ ভাবে তারা নিজেরাই নিয়তি লিখছে, কিন্তু সত্য হলো মুল সত্য হলো তাদের নিয়তি অনেক আগেই প্রতীকের ভাষায় লেখা হয়ে গেছে।

বইয়ের রেটিং: (0.00/5, 0 রেটিং)
রেটিং দিতে লগইন করুন।